Blog

অ্যামাজন কেডিপি (KDP)সেলফ পাব্লিশিং উইথ লো কন্টেন্ট বুকস বিজনেস গাইডলাইন (A to Z)

বই পড়তে আমরা অনেকেই ভালোবাসি। অনেকে লিখতে পছন্দ করি। কিন্তু ভাবুন তো আপনার লিখা বইটি-ই যদি হয় আয়ের উৎস। অ্যামাজন হচ্ছে ওয়ার্ল্ডের বিখ্যাত ই-কমার্স সাইট। প্রতিদিন প্রচুর প্রোডাক্ট কেনা বেচা হচ্ছে। আর অ্যামাজন এ বই পাবলিশ করে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। পৃথিবীর সব বিখ্যাত, নতুন এবং প্রায় সব বিষয়ের বই সেখানে পাওয়া যায়। বড় বড় দেশের বেশিরভাগ মানুষ অ্যামাজন থেকেই বই কিনে। তাই বুঝাই যাচ্ছে প্রচুর ডলারের প্লাটফর্মে এমন লেখক রয়েছে যাদের লিখা বই রাতারাতি হিট হয়েছে এবং সহস্রাধিক ডলারের মালিক হয়েছে।KDP এর মাধ্যমে আপনি ফ্রীতেই আপনার ইবুক বা পেপারব্যাক Amazon এ পাবলিশ করতে পারবেন। এতে করে আপনার লেখাটি Amazon এর মিলিয়ন মিলিয়ন ক্রেতার নাগালে চলে আসবে যারা Kindle readers ব্যবহার করেন। Amazon এর ফ্রী-প্রিন্ট-অন ডিমান্ড সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি আপনার লেখার ফিজিক্যাল পেপারব্যাক কপিও পাবলিশ করতে পারবেন।

আপনি প্রস্তুত তো? চলুন দেখে নেইঃ

রয়ালিটি কিভাবে কাজ করে

কিভাবে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিজের বই পাবোলিশ করা যায়।

Kindle Direct Publishing কি?

এটি মূলত অ্যামাজনের একটি সেল্ফ পাবলিশিং প্ল্যাটফর্ম যার মাধ্যমে লেখকেরা তাদের বই একটি বিশাল পাঠকশ্রেণির কাছে বিক্রি করার সুযোগ পান। এতে বই পাবলিশ করার প্রথাগত পদ্ধতির ধকল এড়ানো যায়।

KDP এর মাধ্যমে আপনি কোন মূলধন ছাড়াই আপনার ইবুক অথবা পেপারব্যাক কপি পাবলিশ করতে পারবেন। তার থেকেও বড় ব্যপার হল, KDP একজন লেখককে তার বই এর ওপর সম্পুর্ন অধিকার দিয়ে থাকে যা সাধারণত আমাদের প্রথাগত পাবলিশিং হাউসগুলো দেয় না।

আপনি যে ধরণের লেখকই হন না কেন, KDP আপনার লেখা বই আকারে পাবলিশ করানোর শ্রেষ্ঠ উপায় এবং এটি আপনি করতে পারবেন বিনামূল্যে। যতদিন না আপনার বইয়ের সেল হচ্ছে ততদিন আপনাকে অ্যামাজনকে কোনো ফী দিতে হবে না, এ বিষয়ে একটু পরে আসছি।

KDP এর উপকারিতা কি?

আমরা নিশ্চিত এতক্ষণে আপনি এর সবচেয়ে বড় উপকারিতা অনুমান করতে পেরেছেন – বিনামূল্যে বই লিস্ট এবং পাবলিশ করানো। কিন্তু KDP তে সাইন-আপ করার আরো কিছু কারণ রয়েছে, চলুন তা দেখে নেয়া যাক।

রেভিনিউ শেয়ারের জন্য কোন মূলধনের প্রয়োজন হয় না

যেহেতু আপনার ইবুক আপনি Amazon KDP তে ফ্রীতেই পাবলিশ করতে পারছেন, তাই সেগুলো সেল হওয়ার পরে আপনাকে Amazon এর সঙ্গে মূল্ধনের শুধু একটি অংশমাত্র ভাগাভাগি করতে হবে। এই ভাগাভাগিটা কেমন হবে তা নির্ভর করবে আপনি কোন রয়্যাল্টি অপশন বাছাই করেছেন এবং আপনার ইবুকটা কত বড় তার ওপর।খুব শিঘ্রয়ী আমরা তা এক্সপ্লেইন করছি।

আপনি যত ইচ্ছা তত ইবুক পাবলিশ করাতে পারেন

একটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেই আপনি যত খুশি তত ইবুক বা পেপারব্যাক বই পাবলিশ করতে পারেন,চাইলে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এবং বিভিন্ন ছদ্মনামেও লিখতে পারেন।

আপনার বই Kindle Store এর সেলস র‍্যাঙ্ক এ জায়গা করার সুযোগ পাবে

একজন ছোট লেখক হিসেবেও আপনি বড় এবং স্বনামধন্য লেখকদের মতই র‍্যাঙ্কে জায়গা দখলের সুযোগ পাচ্ছেন, এটি নিঃসন্দেহে আপনার বইয়ের ভালো সেল হওয়ার জন্য উপকারি।

বিশ্বজুড়ে অ্যামাজন এর বিপুল সংখ্যক পাঠকের কাছে সেল করার সুযোগ

অবশ্যই এটা আমাজনে নিজে পাবলিশ করার একটা অনেক বড় সুবিধা, আপনি মিলিয়ন মিলিয়ন Kindle ইউজারের কাছে আপনার লেখা পৌছাতে পারবেন। আপনি অ্যামাজনের গ্লোবাল মার্কেটপ্লেসে আপনার বইটি বিক্রি করার সুযোগ পাবেন। যেসকল দেশে বই পাবলিশ করা হয় তার তালিকা অ্যামাজন KDP হেল্প পেইজে টেরিটরিজ হিসেবে উপস্থাপন করে। আরো ইনফরমেশনের জন্য Royalty help page ঘুরে দেখতে পারেন।

Kindle Direct Publishing Royalties

আপনি যখন KDP এর মাধ্যমে ইবুক পাবলিশ করবেন , রয়্যাল্টির মাধ্যমে আপনি অ্যায় করবেন। আপনি এবং অ্যামাজন উভয়ে আয়ের একটি পার্সেন্টেজ লাভ করবেন।

৩৫% বা ৭০% এই দুই হারের রয়্যাল্টির মধ্যে বাছাই  করতে পারবেন। আমরা জানি আপনি কি ভাবছেন, অবশ্যই আপনি ৭০% রয়্যাল্টি বাছাইয়ের কথা ভাবছেন , তাই না?

এটা অতটা সিম্পল না।৭০% রয়্যাল্টি বাছাই করতে হলে আপনাকে কিছু মানদণ্ড পূরণ করতে হবেঃ

আপনার ইবুকের দাম ২.৯৯ ডলার থেকে ৯.৯৯ ডলারের মধ্যে হতে হবে।

আপনাকে কিছু প্রতিটি ক্রীত বস্তুর জন্য ডিস্ট্রিবিউশন ফী বা ডেলিভারি ফী প্রদান করতে হবে , এবং এটি আপনার ইবুকের ডিজিটাল ফাইলের সাইজের ওপর নির্ভর করবে। ২.৯৯-৯.৯৯ ডলারের প্রতিটি বইয়ের বিক্রির ক্ষেত্রে অ্যামাজন প্রতি মেগাবাইটের জন্য ০.১৫ ডলার নিয়ে থাকে। অ্যামাজন ইবুক ফাইল কম্প্রেস করে দেয়, যাতে এই ফী গুলো অতটা বেশি হয় না যতটা আপনি ভাবছেন। আপনার বইটি লিস্ট করার পরে তাদের প্রাইসিং পেইজে Free Calculator ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

৭০% রয়্যাল্টি পেতে হলে আপনাকে বইগুলো KDP Select এ এনরোল করাতে হবে আপনি ব্রাজিল,জাপান,মেক্সিকো এবং ইন্ডিয়ার কাস্টোমারদের কাছে সেল করতে পারেন।

৩৫% রয়্যাল্টির জন্য রিকোয়ার্মেন্টগুলো হলঃ

যদি আপনার বইয়ের দাম 0.৯৯ হলে আপনি ৩৫% রয়্যাল্টি পাবেন।

এই অপশনে আপনাকে ডেলিভারি ফী দিতে হবে না।

৩৫% রয়্যাল্টি সাধারণত বড় বইয়ের ক্ষেত্রে উত্তম যেখানে ফাইলের সাইজ বড় হয় যেমন টেক্সটবুক, রান্নারবই,পিকচারবুক ইত্যাদি।

অ্যামাজন KDP তে প্রকাশিত ইবুকের ওপর লিস্ট প্রাইস রিকোয়ার্মেন্টস প্রদান করে থাকে।

পেপারব্যাক রয়্যাল্টি

পেপারব্যাকের জন্য রয়্যাল্টি স্ট্রাকচার অনেকটাই ভিন্ন।

KDP পেপারব্যাকের জন্য নির্ধারিত রয়্যাল্টি ৬০% দিয়ে থাকে। পরবর্তিতে অ্যামাজন আপনার রয়াল্টি থেকে প্রিন্টিং খরচ কেটে নিবে, তবে এর পরিমান নির্ভর করবে পৃষ্ঠার সংখ্যা, কালির মান এবং কোন অ্যামাজন মার্কেটপ্লেস হতে অর্ডার এসেছে তার ওপর।

অ্যামাজনে আপনার বইটির পেপারব্যাক কপির জন্য আপনি ঠিক কত আয় করতে পারবেন জানতে চাইলে আপনি অ্যামাজনের প্রিন্টিং কস্ট ক্যাল্কুলেটর অথবা নিম্নে দেয়া সমীকরনটি দেখে নিতে পারেনঃ

(রয়্যাল্টির হার * লিস্ট প্রাইস) – প্রিন্টিং খরচ = রয়্যাল্টি

মনে করুন, আপনার লিস্ট প্রাইস $১৫ এবং আপনার বইয়ের পেপারব্যাক কপিতে ৩৩৩ টি পৃষ্ঠা রয়েছে যেটি কালো কালিতে লেখা এবং এটি US মার্কেটপ্লেসে বিক্রি হবে।

(০.৬০ * ৳১৫) – ৳৪.৮৫ = ৳৪.১৫

৳৪.১৫ আপনি অ্যামাজন থেকে আয় করতে পারবেন।

কিভাবে বইয়ের জন্য অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করবেন

ভাগ্যবশত আপনাকে আপনার বইটি লিস্ট করে তা সেল হওয়ার চিন্তা করতে হবে না। অ্যামাজন তাদের অত্যধুনিক মার্কেটিং টুলের মাধ্যমে আপনার বইটি সম্ভাব্য ক্রেতাদের নাগালে পৌছে দিবে। এরমধ্যে একটি টুল হল অ্যামাজন অ্যাডভার্টাইজিং।

এছাড়াও অ্যামাজনে প্লাটফর্মে ফ্রি মার্কেটিং করেও প্রচুর সেল জেনারেট করা সম্ভব। এজন্য আমাদেরকে কিছু টিপস ফলো করতে হয় ।ফ্রি মার্কেটিং এর টিপস যদি আমরা জানতে পারি তাহলে ফ্রী মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের  বইটাকে বেস্ট সেলার বই হিসেবে রেঙ্ক করতে পারব ।এখানে আমাদের বেস্ট কিওয়ার্ড বেস্ট ক্যাটাগরি সব বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়।

 অ্যামাজনের প্লাটফর্মে পেইড মার্কেটিং করা যায়। আপনি যদি Amazon.com এ কখনো কোনো সামগ্রি বিক্রি করে থাকেন তাহলে হয়ত আপনি তাদের স্পন্সর্ড প্রডাক্ট অ্যাড এর সঙ্গে পরিচিত যা অ্যামাজন pay-per-click advertising (PPC) এর একটি ধরণ।এটি যেভাবে কাজ করেঃ আপনি আপনার বইয়ের সঙ্গে মানানসই কিছু কীওয়ার্ড নিয়ে একটি অ্যাড ক্যাম্পেইন শুরু করবেন- এই কীওয়ার্ড গুলো এমন হবে যা কোন সম্ভাব্য ক্রেতা অ্যামাজন সার্চ বারে লিখতে পারেন। যখনই কেউ অ্যামাজনে ওই কীওয়ার্ডগুলো সার্চ করবে তাদের ফলাফলের সঙ্গে আপনার অ্যাডটাও চলে আসবে, সেখান থেকে কাস্টমার চাইলে আপনার বইয়ের ডিটেইল পেইজে যেতে পারবেন। PPC তে আপনাকে মূলত এই কীওয়ার্ড এর ওপর বাজি ধরতে হয়, আপনি যতটা বিচক্ষণতার সঙ্গে কীওয়ার্ড বাছাই করবেন, আপনার অ্যাড ততই প্রচারিত হবে।

মনে করুন, আপনি KDP তে নতুন একজন সুপারহিরো নিয়ে একটি কমিক পাবলিশ করলেন। এখন আপনার টার্গেটে যে কীওয়ার্ডগুলো থাকবে তাহলো “ কমিকবুক” , “ সুপারহিরো কমিকবুক” অথবা “সুপারহিরো স্টোরিজ” । সঠিক কীওয়ার্ড বাছাই করলে আপনার অ্যাড অন্য সুপারহিরো কমিকের সার্চ রেজাল্টের সাথেও আসতে পারে।

এটি আপনার বইগুলো পড়তে পছন্দ করবেন এমন পাঠকদের নাগালে পৌছানোর উত্তম একটি পন্থা

KDP সিলেক্ট

KDP সিলেক্ট ইবুক সেলারদের নজরে আসার আরেকটি উপায়। এই প্রোগ্রামটি অপশনাল এবং শুধু ইবুকের জন্য প্রযোজ্য, পেপারব্যাকের জন্য নয়।

কেডিপি এন্ড রোল সিলেক্ট করলে আমরা আমাদের বইটাকে ফ্রী প্রমোশন করাতে পারবো ।কিন্তু যদি  কেডিপি এন্ড রোল সিলেট না করি তাহলে আমরা ফ্রি প্রমোশনটা করাতে পারবো না। আর সিলেক্ট করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে আমরা এই একই  বই অন্য কোন সাইটে দিতে পারবো না। শুধুমাত্র অ্যামাজন প্লাটফর্মে আমাদের বইটা থাকবে তাই কেডিপি এন্ড রোল সিলেক্ট করা খুব বেশি জরুরি।

অ্যামাজনের মতে,” KPD সিলেক্ট একটি ফ্রি কিন্ডেল বুক প্রোগ্রাম যা কোনো বার্তি খরচ ছাড়াই আপনাকে অধিক সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌছাতে এবং অধিক আয় করতে সাহায্য করে। সকল লেখক এবং পাবলিশার তারা যেখানেই থাকেন না কেন চাইলেই KDP সিলেক্টে এনরোল করতে পারবেন।“

উপকারিতা

সিলেক্ট কান্ট্রি গুলোতে অধিক রয়্যাল্টি

ব্রাজিল,জাপান,ইন্ডিয়া এবং মেক্সিকোর বাজারে আপনার কিন্ডেল বইয়ের জন্য ৭০% রয়্যাল্টি নিশ্চিত করুন।আপনি যদি KDP সিলেক্টে এনরোল না করে থাকেন তাহলে এসব দেশে আপনার রয়্যাল্টি হবে ৩৫%।

অ্যাডিশনাল প্রোমোশনাল টুল ব্যবহার করুন

কিন্ডেল কাউন্টডাউন ডিলঃ শুধু KDP সিলেক্টে এনরোলকারী লেখক Amazon.com এবং Amazon.co.uk এর কাস্টোমারদের জন্য লিমিটেড টাইম ডিস্কাউন্ট প্রদান করতে পারবেন। কাস্টোমারগণ প্রকৃত মূল্য এবনফ প্রমোশনাল মূল্য দুইটাই দেখতে পারবেন তাও ডিস্কাউন্টের কাউন্টডাউন ক্লক সহ।

ফ্রি বুক প্রোমোশনঃ প্রতিটি 90 দিন KDP সিলেক্ট এনরোলমেন্ট পিরিয়ডে সর্বোচ্চ ৫ দিনের জন্য লেখক তার বই ফ্রিতে বিতরণ করতে পারবেন। যদিও এটি আপনাকে রয়্যাল্টি পেতে সাহায্য করবে না তবে আপনি প্রচুর ডাউনলোড এবং রিভিউ পাবেন এবং এটি একটি সোশ্যাল প্রুফ হিসেবে কাজ করবে যাতে আরো পাঠক আপনার লেখার প্রতি আকর্ষিত হয়।

কিন্ডেল আনলিমিটেড

আপনার বই কিন্ডেল আনলিমিটেডে এনরোল করা হবে, যেখানে কাস্টোমাররা মাসিক $৯.৯৯ ফী প্রদান করে অসংখ্য বই পড়তে পারেন। এই প্রোগ্রামে আপনি সাধারন রয়্যাল্টি প্রাইস পাবেন না বরং পাঠক আপনার লেখা বইয়ের যতটি পৃষ্ঠা পড়বে সেই হিসেবে আপনি অর্থ পাবেন। এটা আপনার কাছে একটু উদ্ভট লাগতে পারে কিন্তু আপনি ভালোই প্রতিদান পাবেন।এই আনলিমিটেড কাস্টোমার হয়ত নতুন কোন লেখকের বই কিনে পড়তে চাইবে না তবে কিছু পৃষ্ঠা তাদের ফ্রিতে পড়তে দিলে তারা এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে পারে, তাছাড়া এসব পাঠক হতে সোশ্যাল- বুস্টিং রিভিউ পাওয়া যেতে পারে।এছাড়াও আমাদের বইয়ের  রেঙ্ক খুব ভালো পর্যায়ে থাকবে।

অসুবিধাঃ

বই বিক্রির তুলনায় স্বল্প আয়

যেহেতু এখানে আপনার আয় পাঠক কর্তৃক পঠিত পৃষ্ঠার ওপর নির্ভর করে, তাই এই ক্ষেত্রে আপনার আয় ঠিক তত হয় না যতটা বই বিক্রি হলে হত।

আপনার ইবুক অ্যামাজনের Exclusive হতে হবে

মিনিমাম ৯০ দিনের একটি এনরোলমেন্ট পিরিয়ড রয়েছে যখন আপনার বই শুধু অ্যামাজন কিন্ডেল স্টোরে সেল করতে পারবেন- আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট বা অন্য মার্কেটপ্লেসে না, এমনকি নিজে নিজে ফ্রিতেও বিতরণ করতে পারবেন না ।

KDP অ্যাকাউন্টে কিভাবে সাইন-আপ করা যায়

KDP এর মাধ্যমে আপনি একটি ইবুক ফ্রিতে লিস্ট এবং আপনার নিজের প্রিন্ট অন ডিমান্ড পেপারব্যাক ভার্শন তৈরি করতে পারবেন। এগুলো শুনতেই কত ভালো লাগে, তাই না? আপনি যে ধরণের লেখকই হন না কেন, আপনার বইগুলো KDP এর মাধ্যমের অ্যামাজনে পেশ করাই সর্বোত্তম হবে।

অ্যাকাউন্টে সাইন-আপ ক্রা খুবই সহজ এবং আপনার ইবুক খুবই অল্প সময়ের মধ্যে পাবলিশ করাতে পারবেন।

প্রথমে, Kindle Direct Publishing ওয়েসাইটে গিয়ে “Sign up” এ ক্লিক করুন।

কিছু বেসিক ইনফরমেশন প্রদান করার পর আপনি আপনার বই আপলোড করতে পারবেন।

শুরু করতে, “Create a New Title” এ যান এবং কিন্ডেল ইবুক বা পেপারব্যাক choose করুন।

এরপর, আপনি আপনার বই সম্পর্কিত ইনফরমেশন প্রদান করবেন, যেমন Title, Edition, Author, Description, Publishing Rights এবং Keywords ইত্যাদি।

এরপরের সেকশনে আপনাকে আপনার Manuscript, eBook Cover, eBook Preview এবং একটি অপশনাল Kindle eBook ISBN আপলোড করতে হবে।

এগুলো আপলোড করার পুর্বে KDP Content Guidelines পড়ে নিতে ভুলবেন না।

পরের কাজটি হল আপনার বইয়ের দাম নির্ধারন। আপনি KDP  সিলেক্টে এনরোল করতে চান কিনা, যেসব জায়গায় আপনার বই লিস্ট করতে চান , রয়্যাল্টি রেট এবং দাম এসব জানাতে হবে।

“ Royalty and Pricing “ শাখায় আপনাকে বাছাই করতে হবে আপনি ৩৫% প্ল্যান নিবেন নাকি ৭০% প্ল্যান নিবেন। আপনার লিস্ট প্রাইসের ওপর নির্ভর করে রয়্যাল্টি কত হবে অ্যামাজন সেটি আপনাকে দেখিয়ে দিবে।

এইসব ইনফরমেশন দেয়া হয়ে গেলে আপনার বইটি পাবলিশের জন্য রেডি হয়ে যাবে। এভাবেই আপনার নিজস্ব ইবুক বা পেপারব্যাক অ্যামাজনে সেল করার সুযোগ পাবেন।

আপনার বইগুলো Kindle Direct Publishing এ বিক্রি করা শুরু করুন

আশা করি এতক্ষণে আপনি বুঝতে পেরেছেন KDP কিভাবে কাজ করে এবং কিভাবে ছোট বড় যেকোনো লেখক এখানে তাদের নিজস্ব লেখা পাবলিশ করতে পারে। আপনি উপন্যাস লিখে থাকেন বা সাইয়েন্টিফিক টেক্সটবুক বা বেডটাইম গল্প , আপনার লেখার যে শাখারই হোক না কেন KDP তা জনসাধারণের নিকট পৌছে দিতে সাহায্য করতে পারে।অনলাইনে অনেকেই ক্যারিয়ার গড়তে চান ।আর আপনার  শখ  যদি হয় ক্যারিয়ার গড়ার হাতিয়ার ।তাহলে তো ব্যাপারটা ভালই হয় ।অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য অ্যামাজনের প্লাটফর্ম বেস্ট সাইট। আপনি খুব সহজেই এই কাজগুলো আয়ত্ত করে কাজ করা শুরু করে দিতে পারেন। এবং আপনার বইটি ও করে ফেলতে পারেন বেস্ট সেলার বই।  অ্যামাজনের প্লাটফর্ম থেকে আপনি হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তাই ক্যারিয়ার নিয়ে  বিশেষ চিন্তা করতে হবে না ।খুব সহজেই আপনি অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন ।এবং কাজগুলো আয়ত্ত করতে পারবেন।

আপনি কি কখনো KDP এর মাধ্যমে বই পাবলিশ করেছেন? আমাদেরকে জানাতে পারেন অথবা অ্যামাজনে আপনার বই বিক্রি করা নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।

আমাজন কিন্ডল (Amazon Kindle) ডাইরেক্ট পাবলিশিং গাইডলাইন

বই পড়তে আমরা অনেকেই ভালোবাসি । অনেকে লিখতে ও পছন্দ করি। কিন্তু ভাবুন তো আপনার লেখা বইটি-ই যদি হয় আয়ের উৎস । অ্যামাজন হচ্ছে ওয়ার্ল্ডের বিখ্যাত ই-কর্মাস ওয়েবসাইট। যেখানে প্রতিনিয়তই বেচা-কেনা হচ্ছে প্রচুর প্রোডাক্ট। আর অ্যমাজনেই বই পাবলিশ করে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। আমরা যেমন রকমারী থেকে বই কিনি। আমরা কিন্তু শুধু বই এর হার্ডকপি কিনে থাকি কারণ আমরা এখনও পিফিএফ পড়ে অতটা অভ্যস্ত না । কিন্তু বাইরের দেশ গুলোতে কিন্তু সবাই পিডিএফ, অডিওবুক পড়ে অভ্যস্ত। পৃথিবীর সব বিখ্যাত লেখক থেকে শুরু করে নতুন এবং প্রায় সব বিষয়ের বই ই সেখানে পাওয়া যায়।  বাইরের দেশের বেশির ভাগ মানুষই অ্যামাজন থেকেই বই কিনে। মিলিয়ন ডলারের বিজনেস অ্যামাজনের এই প্লাটফর্মকে ঘিরে  এই প্লাটফর্মে এমন লেখক রয়েছে যারা বই লিখেই মিলিয়ন ডলারের মালিক হয়েছেন ।

Amazon Kindle Direct Publishing প্লাটফর্ম এ ডিজিটাল বই ছাড়াও কিন্তু বই এর হার্ড কপিও সেল করা যায়।  বেশ কয়েকটি সেকশনে KDP তে কাজ করা যায় (Kindle Store , Acx , Books)

Kindle Store

অনলাইনে Kindle Store এর বই পড়া যায় এবং বই এর হার্ডকপি ও সেল হয় । এছাড়াও page read এর মাধ্যমে ডলার ইনকাম করা ‍সম্ভব । যদি আপনি Kindle Store এ একটি বই পাবলিশ করেন তাহলে আপনার বই থেকে তিনটি মাধ্যমে রেভিনিউ আসতে পারে ।

  • Kindle Store
  • Paperback and
  • Read

আপনি যদি একটি ভালো নিশ সিলেক্ট করে এর উপর ভালো মানের কোয়ালিটিফুল বই পাবলিশ করতে পারেন তাহলে কয়েক দিনের মধ্যেই বই সেল করে ইনকাম করা সম্ভব ।

অনেকেই Kindle Store এ কাজ করাটা কঠিন মনে করে । আপনি যদি লেখক হন কিংবা শখের বশেও লেখা লেখির অভ্যাস থাকে, তাহলে তো কথাই নেই, এই শখ টাকেই পেশায় পরিণত করতে পারেন। আর ‍আপনি যদি ভালো লেখক নাও হয়ে থাকেন , তাহলেও কিছু স্ট্রাটেজী, ট্রিক্স বুদ্ধি আর সাথে মার্কেটিং টেকনিক কাজে লাগিয়ে ভাল মানের কোয়ালিটিফুল কন্টেন্ট সমৃদ্ধ বই পাবলিশ করে হয়ে যেতে একজন বেস্টসেলার লেখক । কি? চিন্তায় পড়ে গেলেন ? যে আমার তো বই লেখার অভ্যাস নেই বা মার্কেটিং করার মত ইনভেস্টমেন্ট ও নেই, তবে কি আমি অ্যামাজন কিন্ডলে বই লিখতে পারব না? মজার বিষয় হলো , আপনিও পারবেন বই পাবলিশ করে ডলার ইনকাম করতে কিন্তু আপনাকে জানতে হবে কিছু ট্রিক্স এবং স্ট্রাটেজী। যেগুলো ফলো করলে আপনিও এই সেক্টরে সাক্সেসফুল একজনের হতে পারেন। আমি মনে করি, প্রথম কাজ করার শুরুতে কিছু স্ট্রাটেজী ,টেকনিক ফলো করে ফ্রিতে কাজ করতে পারাটাই ভালো । কারন  সবার ইনভেস্ট করার সামর্থ্য থাকে না  প্রথমদিকে।  

  • Kindle Book ছাড়াও রয়েছে Paperback (Coloring book, Notebook , Activity book, Puzzle book ) . এই বইগুলো তৈরি করেও আপনি ভালো সেল পেতে পারেন। আপনি এখন চিন্তা করতে পারেন আমি তো ভালো ডিজাইনার না । তাহলে আমি কিভাবে কাজটা করবো? আপনি ভালো ডিজাইনার না হলেও এই কাজ গুলো খুব সহজেই অনলাইন কিছু টুলস , সফওয়্যার ব্যাবহার  করে অ্যাডভান্স লেভেলেই করতে পারবেন ।

  • Acx হচ্ছে (Audio book) আপনি যে বই তৈরি করবেন আপনি চাইলে সেই বই Audio বের করতে পারবেন । অনেকেই আছে যারা বই পড়ার চেয়েও শুনতে বেশি পছন্দ করে । তারাই মূলত আপনার Audio Book গুলো কিনবে।

একটা মাত্র সাইট কিন্তু সম্ভবনা রয়েছে অনেক । আপনি যদি ধৈর্য্য ধরে ১০০’র মত বই পাবলিশ করতে পারেন তাহলে ইনশাল্লাহ আপনার মাসে হাজার ডলারের ওপরে আসা ‍সম্ভব । আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো এইটা Passive income. আপনার বই একবার পাবলিশ করবেন কিন্তু বই যদি বেস্টসেলার হতে পারে তাহলে সারাজীবন আপনি সেল পাবেন । আর একটি মজার ব্যাপার হলো এখানে আপনি কোন রকম মার্কেটিং না করে ও সেল পাওয়া যায় । Amazon ই আপনার বই এর মার্কেটিং করবে যার মাধ্যমে আপনি অরগানিক ভাবেই সেল পাবেন। এছাড়াও যাদের ইনভেস্ট করার সামর্থ্য আছে , তারা মার্কেটিং এ  ইনভেস্ট করেও ভালো সেল করতে পারবে। তবে আপনার বই এর নিশ যদি ভালো হয় তাহলে আপনি ইনভেস্ট ছাড়াই সেল করে হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন ইন শাহ ল্লাহ।  

পাইথন এবং জ্যাঙ্গো – ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার ক্যারিয়ার গাইডলাইন

বর্তমান যুগে ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট খুবই জনপ্রিয় একটি টপিক । কিন্তু এই ফুলস্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট আসলে কি তার কোন সঠিক ধারনা হয়তবা আমাদের অনেকেরই নেই 

আমরা তো সবাই ওয়েবসাইট দেখেছি তাই না ? তো একটা ফুল ওয়েবসাইট বানাতে প্রধানত দুই প্রকারের টেকনোলজি ব্যাবহার করতে হয় যেমন ফ্রন্ট-এন্ড এবং ব্যাক-এন্ড টেকনোলজি ।তারমানে যে ডেভেলপার এই দুইটি টেকনোলজি ব্যাবহার করে যেকোনো ফুল একটা ওয়েবসাইট বানাতে পারে সে ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে পরিচিত ।  

যখন প্রায় সমস্ত টেকনোলজি, ফ্রেমওয়ার্ক এবং টুলস পাইথনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, তখন এই জাতীয় টেকনোলজি দিয়ে ওয়েব তৈরি বা ডেভেলপ করাকে পাইথন ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলা হয় ।আমার এই আর্টিকেল-এ কীভাবে একজন সফলভাবে পাইথন ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার হতে পারবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব –

একজন সফল পাইথন ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে ফ্রন্ট-এন্ড এবং ব্যাক-এন্ড এই দুই প্রকারের টেকনোলজি-তেই সমানভাবে দক্ষ হতে হবে ।শুরুতেই আপনাকে জানতে হবে আপনি কোনটা শিখবেন এবং কেন ?

নিচের ছবিটি ভালোমত লক্ষ্য করুন :

আশা করি বুঝতে পারছেন যে আপনার অনেক গুলো টেকনোলজি শিখতে হবে একজন পাইথন ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার হওয়ার জন্য। মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনি চাইলে এই টেকনোলোজিগুলোর মধ্যে সবগুলো না শিখেও একটা ফুল ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন কিন্তু আপনাকে জানতে হবে যে সেইগুলো কি কি ? এই আর্টিকেল-এ আমি এই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করব এবং সবশেষে বলে দিব যে শুধু কোনগুলো শিখলেই আপনারা একটা ফুল ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন ।

প্রথমেই আমি যে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করব সেটা হচ্ছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট-এর ব্যাক-এন্ড টেকনোলজি । ব্যাক-এন্ড টেকনোলজিতে মূলত থাকে কোন ওয়েবসাইট এর লজিকেল কোড । অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটে কোথায় কি কাজ হবে, কোন বাটনে ক্লিক করলে কোন লিঙ্কে নিয়ে যাবে এইসব থেকে শুরু করে যত লজিক আছে তার সবই থাকে এই ব্যাক এন্ড পার্ট এ।

এই আর্টিকেল-এ ব্যাক-এন্ড এর যে তিনটা পার্ট আছে যেমন – প্রোগ্রামিং লেংগুয়েজ, ডাটাবেস এবং ব্যাক-এন্ড ফ্রেমওয়ার্ক ওইগুলা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ।  

একজন ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার হতে কেন পাইথন শিখব ??

পাইথন একটি High-level, General Purpose এবং Object Oriented প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ । সি, সি ++, জাভা এর তুলনায় এটি Most Readable প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং একই সময়ে উচ্চ কার্যকারিতা সম্পন্নও ।
এখন কেন আমরা Full Stack Web Developer হতে Python শিখব আর কিছু কারণ নিচে বর্ণনা করা হল –

  1. পাইথন খুবই Beginner Friendly; যারা নতুন প্রোগ্রামিং শিখতে চায় তারা পাইথন দিয়ে খুব সহজে প্রোগ্রামিং শিখে ফেলতে পারবে ।
  2. অন্যান্য ল্যাঙ্গুয়েজ আর চেয়ে অনেক কম কোড করে যেকোনো Program বানানো যায় ।
  3. প্রোগ্রামিং এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে Syntax আর বর্তমানে
    সবচেয়ে সহজ Coding Syntax হচ্ছে পাইথন এর ।
  4. পাইথন খুবই Flexible; যা দিয়ে মুটামুটি সবকিছুই করা যায় যেমন Web Development, Gui App, Web Scraping, Data Science, Artificial Intelligent, Machine Learning ইত্যাদি ।
  5. পাইথনে রয়েছে প্রচুর ওপেন-সোর্স লাইব্রেরী এবং ফ্রেমওয়ার্ক যা খুবই শক্তিশালী ।
  6. পাইথন Developer Community খুবই ব্যাপক এবং সক্রিয় যার জন্য
    এটির খুব দ্রুত বিকাশ ঘটছে ।

পাইথনের যেসব বেসিক টপিকগুলো জানা লাগবে

নিচের টপিকগুলা আপনি পর্যায়ক্রমে শিখতে পারেন । আপনি যদি চান আপনার সুবিধামত আগে-পরে করেও শিখে নিতে পারেন ।

  • Python Variables, Constants and Literals
  • Python I/O tasks
  • Python Data Structure
    • Integer
    • Float
    • String
    • Boolean
    • List
    • Tuple
    • Set
    • Dictionary
  • Python Operators
    • Arithmetic Operator
    • Comparison Operator
    • Logical Operator
    • Assignment Operator
    • Identity Operator
    • Membership Operator
  • Python Conditional Statements (if, else, elif, nested if)
  • For Loop
  • While Loop
  • Break, Continue and Pass Statement
  • Python Functions
  • Python Files I/O
  • Lambda Function
  • Decorators
  • Generators
  • Python Errors and Exception Handling
  • OOP (Object-Oriented Programming)
  • Python Regex (Regular Expression)

ডেভেলপমেন্ট এনভাইরনমেন্ট

মূলত আমরা ওয়েবসাইট বানানোর সময় যে কোডগুলো লিখব ওইগুলার জন্য আমাদের কোন কোন সফটওয়্যার বা টুলস ব্যাবহার করতে হয় তা সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে ।  

Development Environment হচ্ছে কোন অ্যাপ্লিকেশন বা প্রোগ্রামের ডেভেলপ, টেস্ট এবং ডিবাগ করার জন্য যে পদ্ধতি এবং টুলস ব্যাবহার করা হয় ।

একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবএপ ডেভেলপ করার জন্য যেসব টুলস ও টেকনোলজি ব্যাবহার করব সেগুলো হলো –

IDLE – IDLE হচ্ছে Python’s Integrated Development and Learning Environment যেটা পাইথন এ Built-in থাকে, Beginner দের জন্য এটা খুবই উপকারী ।

IDE – পাইথন এর Built-in Development Environment ছাড়াও আরও কিছু থার্ড-পার্টি Advanced IDE রয়েছে –

  • Pycharm
  • PyDev
  • Jupyter Notebook

Code Editor – IDE ছাড়াও যেকোনো প্রোগ্রামের Source Code এডিট করার জন্য Code Editor ব্যাবহার করা হয় । কিছু পপুলার Code Editor  হচ্ছে –

  • VSCode
  • Atom
  • Sublime Text 3

Version Control – Version Control or Source হচ্ছে কোন একটি কোড এর প্রতিটি ছোট ছোট পরিবর্তনগুলোর রেকর্ড স্টোর এবং মেইনটেইন করা । বর্তমানে সবচেয়ে পপুলার ভার্সন কন্ট্রোল সফটওয়্যার টুল হচ্ছে GIT.

ডাটাবেস এবং রিলেটেড টেকনোলজি

আমরা জানি যেকোন ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ডাটা থাকে । তো ঐ ডাটাগুলা সিস্টেমে স্টোর করা এবং সিস্টেম থেকে অ্যাক্সেস করার জন্য আমরা কিছু গুরত্বপূর্ণ ডাটাবেস টেকনোলজি ব্যাবহার করে থাকি ।

ডাটাবেস সিস্টেম প্রধানত দুই প্রকারের হয়ে থাকে । যেমন –

  1. RDBMS

Relational Database Management সিস্টেমটি Web Development-এ ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী একটি Database সিস্টেম । এটি ডেটা সঞ্চয় করতে এবং পাইথন ফুল স্ট্যাক ওয়েব বিকাশে জনপ্রিয় । এই সিস্টেম SQL এর মতো Language ব্যবহার করে টেবিলগুলিতে তথ্য ব্যবহার করে এবং পরিচালনা করে।

  • MySQL
  • SQLite
  • Oracle Database XE
  • PostgreSQL
  • NoSQL

ডাটা সংরক্ষণের একটি বিকল্প পদ্ধতি যা ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে এবং জনপ্রিওতায় ক্রমবর্ধমান । Big Data Projects এবং Real-time Web Application গুলিতে ক্রমশ NoSQL এর ব্যাবহার বেড়েই চলেছে ।

  • MongoBD
  • AWS DynamoDB

পাইথন ব্যাক-এন্ড ফ্রেমওয়ার্ক–

ব্যাক-এন্ড টেকনোলজির সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ পার্ট হচ্ছে ফ্রেমওয়ার্ক । নিচে পাইথনের দুইটা পপুলার ওয়েব ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে । আপনারা চাইলে যেকোনো একটা ফ্রেমওয়ার্ক ইউজ করেই ওয়েব অ্যাপ বানাতে পারবেন ।

  1. Django – জ্যাঙ্গো একটি হাই-লেভেল পাইথন ওয়েভ ফ্রেইমওয়ার্ক যা Model-Template-View আর্কিটেকচার ফলো করে । এটা খুব Fast এবং জটিল, ডাটাবেস-ড্রীভেন ওয়েবসাইট বানাতে সহজভাবে বানাতে ব্যবহৃত হয় । জ্যাঙ্গোর Documentation খুবই স্বয়ংসম্পূর্ণ, তো আমার পরামর্শ থাকবে এটা ভালভাবে আয়ত্ত করতে পারেন ।
  1. Flask – ফ্লাক্স হচ্ছে পাইথন এর একটি মাইক্রো ফ্রেইমওয়ার্ক যা দিয়ে ওয়েবসাইট বানানোর সময় কোন নির্দিষ্ট টুল বা লাইব্রেরী প্রয়োজন নেই ।  

পাইথন API ফ্রেমওয়ার্ক –

ব্যাক-এন্ড এর ফ্রেমওয়ার্ক শিখার পর আপনাদের অবশ্যই ওই ফ্রেমওয়ার্ক রিলেটেড যে টুলস থাকবে তা দিয়ে API বানানো শিখতে হবে । যেকোনো ওয়েবসাইট এর জন্য API বানানোর সবচেয়ে বড় কারণ হলো আমরা API এর মাধ্যমে  ডাটাবেস থেকে ডাটা অ্যাক্সেস করে ওইটা যেকোনো ফ্রন্ট-এন্ড ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে ওয়েবসাইটের ইউজার ইন্টারফেজে দেখাতে পারি। API ক্রিয়েট করার জন্য পাইথন এর দুইটা পপুলার ফ্রেমওয়ার্ক হল –   

  1. Django Rest Framework
  2. Flask Restful API

যেহেতু আমরা ব্যাক-এন্ড টেকনোলজির সবগুলা পার্ট শিখে ফেলেছি, তো এখন আমি ফ্রন্ট-এন্ড এর টেকনোলজিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলব –

ফ্রন্ট এন্ড এ আমরা মূলত ইউজার যে ইন্টারফেজ দেখতে পায় সেই কাজ গুলো করে থাকি। আপনি  একটি ওয়েব সাইটে ঢুকলে যা যা দেখতে পান তার সবই করা হয় ফ্রন্ট–এন্ড এর ভেতরে। মানে একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইনই হচ্ছে ফ্রন্ট এন্ডের কাজ।

বেসিকফ্রন্ট-এন্ড টেকনোলজি

কোন ওয়েবসাইট-এর ফ্রন্ট-এন্ড ডিজাইন করতে যেসব প্রাথমিক টেকনোলজি ব্যাবহার করা হয় সেগুলো হলো –

1. HTML – এটা কোন প্রোগ্রামিং লেঙ্গুয়্যাজ না, এটা হচ্ছে মার্কআপ লেঙ্গুয়্যাজ । এটা দিয়ে মূলত আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচার কেমন হবে যেমন কোথায় টেক্সট হবে, বাটন, ইমেইজ, লিঙ্ক কোথায় থাকবে এই জাতীয় কাজ করে থাকি । 

2. CSS – এটা হচ্ছে স্টাইলশিট লেঙ্গুয়্যাজ । HTML দিয়ে করা কোন ওয়েবসাইট কে ডিজাইন যেমন বাটন কি রঙের হবে, ফন্ট এর সাইজ কত ও কি রঙের হবে, কোন ব্যাকগ্রাউন্ড হবে এই ধরনের কাজ CSS দিয়ে করা হয় । মজার বিষয় হচ্ছে আপনারা চাইলে শুধু HTML এবং CSS ব্যাবহার করে অনেক বেসিক ওয়েবসাইটের ডিজাইন তৈরি করে ফেলতে পারবেন যেমন পার্সোনাল পোর্টফোলিও, ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট/ ওয়েবঅ্যাপ এর প্রোটোটাইপ

3.JavaScript – ফ্রন্ট-এন্ড এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টেকনোলজি হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্ট । এটি আপনাকে খুব ভালভাবে শিখতে হবে কারণ ফ্রন্ট-এন্ড মোটামুটি অনেক লাইব্রেরী এবং ফ্রেমওয়ার্ক জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়েই বানানো হয়েছে । আমার পরামর্শ থাকবে এটি শিখতে আপনারা যদি MDN ডকুমেন্টেশনটা ফলো করেন অনেক তাড়াতাড়ি এবং খুব ভালভাবে শিখতে পারবেন ।

ফ্রন্ট-এন্ড ফ্রেমওয়ার্ক / লাইব্রেরী –

ফ্রন্ট-এন্ড ফ্রেইমওয়ার্ক হচ্ছে মূলত অনেকগুলো কোড এর বান্ডিল যা অন্য কেও ইতিমধ্যে লিখে রেখেছেন এবং যেটি ব্যাবহার করে খুব দ্রুত যেকোনো ওয়েবঅ্যাপ বানানো যায় ।

  • BootStrap – BootStrap হচ্ছে ওয়েব-এ যেকোনো রেস্পনসিভ , মোবাইল ফার্স্ট প্রোজেক্ট ডেভেলপ করার জন্য HTML, CSS এবং JavaScript এর একটি পপুলার ফ্রেমওয়ার্ক ।
  • JQuery – JQuery হচ্ছে দ্রুত, ছোট এবং উচ্চ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরি ।
  • AngularJS – AngularJS হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্ট-বিষয়ক ওপেন-সোর্স ফ্রন্ট-এন্ড ফ্রেইমওয়ার্ক যা মূলত গুগোল মেইনটেইন অ্যান্ড ডেভেলপ করছে
  • ReactJS – ReactJS হচ্ছে ওপেন-সোর্স ফ্রন্ট-এন্ড জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরী যা ইউজার ইন্টারফেইস অথবা UI কম্পোনেন্ট ডেভেলপ করতে ব্যাবহার করা হয় ।
  • VueJS – VueJS হচ্ছে ওপেন-সোর্স Model-View-ViewModel  ফ্রন্ট-এন্ড জাভাস্ক্রিপ্ট ফ্রেইমওয়ার্ক যা দিয়ে ইউজার ইন্টারফেইস এবং সিঙ্গেল-পেইজ এপ্লিকেশন ডেভেলপ করা যায় ।
  • Redux – Redux হচ্ছে ওপেন-সোর্স জাভাস্ক্রিপ্ট লাইব্রেরী যা কোন এপ্লিকেশন-এর অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে । এটি মুলত ইউজার ইন্টারফেইস ডেভেলপ করতে React বা Angular-এর সাথে ব্যাবহার করা হয় ।

যেসব প্লাটফর্ম-এ পাইথন জ্যাঙগো ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন Deploy করতে পারি –

সবশেষে আমরা জানব যে যখন আমাদের ফুল ওয়েবসাইট / ওয়েব অ্যাপ বানানো শেষ হয়ে যাবে, তখন কোন প্লাটফরমে এবং কীভাবে আমরা আমাদের ওয়েবসাইট / ওয়েব অ্যাপ ডেপলয় করে প্রডাকশন লেভেলে লাইভ করতে পারি । পাইথন ওয়েব অ্যাপ ডেপলয় এর জন্য কিছু পপুলার প্লাটফর্ম নিচে দেওয়া হলো –  

  1. PythonAnywhere
  2. Docker
  3. Heroku
  4. DigitalOcean
  5. Amazon AWS

আমার এই আর্টিকেল-এ পাইথন ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপার হতে যে যে টেকনোলজিগুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে তার মধ্যে আপনাকে সবগুলা না শিখলেও হবে । তো শুধুমাত্র যেগুলো ব্যাবহার করে আপনি একটি ফুল ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন সেগুলো নিচের ছবিতে দেয়া হল –

সর্বোপরি বলতে চাই আপনি যদি সফলভাবে প্রতিটা ধাপ লক্ষ্য করে একটি ওয়েবসাইট বিল্ড করতে পারেন তাহলে আপনাকে পাইথন  ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপারের দুনিয়ায় স্বাগতম। আর এসব কিছু নিয়েই খুব অল্প দিনের মধ্যেই পাইথন ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্টের উপর সবচেয়ে এডভান্সড এবং রিয়েল লাইফ প্রোজেক্ট বেসড কোর্স নিয়ে আসতে যাচ্ছি ইনশাহাল্লাহ্‌।  

ফুলস্ট্যাক মার্ন (MERN) ডেভেলপার ক্যারিয়ার গাইডলাইন

বর্তমান যুগে ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট একটি জনপ্রিয় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট টেকনোলোজি। কিন্তু এই ফুলস্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট আসলে কি তার কোন সঠিক ধারণা আমাদের অনেকেরই নেই। আজ আমি আপনাদের বল্ব এই ফুলস্ট্যাক ডেভেলপমেন্ট আসলে কি এবং কীভাবে আমরা এই ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারি।

ফুলস্ট্যাক ওয়েব ডেভেলপমেন্ট আসলে কি?

আমরা তো সবাই ওয়েবসাইট দেখেছি তাই না? আমি যদি একদম সহজ ভাষায় বলি, যে ডেভেলপার একটা ওয়েবসাইটের এ টু জেড সব কাজ করে থাকেন তাদেরকে বলা হয় ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার। তো বুঝতেই পারছেন একজন ডেভেলপারের কতোদিক মাথায় রাখতে হয়।
আমি চেষ্টা করবো এই আর্টিক্যালে একজন সফল ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার হতে যা যা স্টেপ ফলো করা দরকার তা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টকে সাধারণত ২টি ভাগে ভাগ করা হয়ঃ

১। ফ্রন্ট এন্ড
২। ব্যাক এন্ড

ফ্রন্ড এন্ডঃ

ফ্রন্ট এন্ড এ আমরা মূলত ইউজার যে ইন্টারফেজ দেখতে পায় সেই কাজ গুলো করে থাকি আপনি  একটি ওয়েব সাইটে ঢুকলে যা যা দেখতে পান তার সবই করা হয় ফ্রন্টএন্ড এর ভেতরে মানে একটি ওয়েবসাইটের ডিজাইনই হচ্ছে ফ্রন্ট এন্ডের কাজ।

ব্যাক এন্ডঃ

অপর দিকে ব্যাক এন্ডে থাকে সব লজিক্যাল কোড। অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটে কোথায় কি কাজ হবে, কোন বাটনে ক্লিক করলে কোন লিঙ্কে নিয়ে যাবে এইসব থেকে শুরু করে যত বিজন্যাস লজিক আছে তার সবই থাকে এই ব্যাক এন্ড পার্ট এ।

একজন সফল ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার হতে হলে আপনাকে এই ২টি পার্ট এই সমান ভাবে দক্ষ হতে হবে। একজন ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার হিসেবে আপনার কাজ হবে সফল ভাবে একটি ওয়েবসাইট বিল্ড করতে শিখা।বর্তমানে ডেভেলপার ওয়ার্ল্ডে  বিভিন্ন টেকনোলোজি স্ট্যাক আছে ফুলস্ট্যাক ডেভেলপারের জন্য। শুরুতে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি কোনটা শিখবেন এবং কেনো শিখবেন?

নিচের ইমেইজটি একটু লক্ষ্য করুনঃ

আশা করি বুঝতে পারছেন যে আপনার অনেক গুলো টেকনোলোজি শিখতে হবে একজন ফুলস্ট্যাক ডেভেলপার হওয়ার জন্য। এখন এতো গুলো টেকনোলোজি শেখার জন্য আপনি যদি বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা শেখা শুরু করেন ফ্রন্ট এন্ড এবং ব্যাক এন্ডের জন্য, তখন কিন্তু আপনার সময় এবং প্রচেষ্টা ২টিই বেশী লাগবে। কিন্তু এমন যদি হয় আপনি একটা সিঙ্গেল ল্যাংগুয়েজ শিখেই সব কাজ করতে পারছেন তাহলে কেমন হয়?
অবশ্যই এটা ভালো একটা সিদ্ধান্ত হবে। এবং এর জন্যই আপনার শেখা উচিৎ জাভাস্ক্রিপ্ট। এই জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে আপনি যেমন ফ্রন্ট এন্ড এর কাজ করতে পারবেন, ঠিক তেমনিই আপনি এটি দিয়ে ব্যাক এন্ডের কাজও করতে পারবেন। জাভাস্ক্রিপ্ট আপনাকে দিচ্ছে অনেক ফ্রন্ট এন্ড এবং ব্যাক এন্ডের ফ্রেমওয়ার্ক এবং লাইব্রেরী। যার সাহায্যে আপনি খুব সহজে একটা ওয়েবসাইটের ফ্রন্ট এন্ড এবং ব্যাক এন্ডের ডিজাইন করতে পারবেন।

ল্যাংগুয়েজ তো ঠিক হয়ে গেলো, কিন্তু কোন স্ট্যাকে শিখবেন কাজ? MERN নাকি MEAN?

এই MERN আর MEAN আসলে কি?

MERN- MongoDB, Express.JS, React.JS, Node.JS - এই ৪টা টপিক নিয়ে আসলে বুঝায় MERN অপরদিকে

MEAN- MongoDB, Expree.JS, Angular.JS, Node.JS - এই ৪টা টপিক নিয়ে আসলে বুঝায় MEAN

অর্থাৎ ২টি টেক স্ট্যাক এর ভেতর পার্থক্য হচ্ছে রিএক্ট এবং এঙ্গুলারে। এই দুটি হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্টের ফ্রন্ট-এন্ড এর ফ্রেমওয়ার্ক/ লাইব্রেরী। এখন আপনাকে বুঝতে হবে আপনি কোনটা শিখবেন।

Angular vs React Image:

তো দেখতেই পাচ্ছেন ২টির ভেতরে অনেক পার্থক্য। কিন্তু পারফর্মেন্স এবং পপুলারিটির দিক বিবেচনা করলে রিএক্ট এঙ্গুলার থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে। আপনি জব মার্কেটেও এখন অনেক রিএক্টের সার্কুলার দেখতে পাবেন। সুতরাং ২০২১ এ এসে রিএক্ট হবে সবচেয়ে উপযোগী একটি ফ্রন্ট এন্ড লাইব্রেরী।
তো আর কিছু না ভেবেই শুরু করে দিতে পারেন MERN স্ট্যাক ডেভেলপমেন্টের যাত্রা। কিন্তু শিখবেন কীভাবে?
কোনটা আসলে কি কাজ করে? আপনার এইসব প্রশ্নের উত্তর এবং সঠিক একটা গাইড লাইন দেয়ার চেষ্টা করবো এই ব্লগেই।

Pre-Requisite to start the journey as a MERN stack developer:

1. HTML
ওয়েব ডেভেলপমেন্টের শুরুতে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে HTML, HTML একটি মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ যেখানে আমরা লিখে থাকি যে আমাদের ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচারটা কীভাবে হবে। অর্থাৎ আমরা বলি যে একটা বাটন কোথায় থাকবে, ইমেইজ কোথায় থাকবে এসব। আপনারা এই HTML শিখতে খুব বেশী সময় লাগবে না। খুবই সহজ একটি জিনি.

2.CSS
HTML কে CSS দিয়েই ডিজাইন করা হয়। অর্থাৎ একটা ওয়েবসাইটের বাটন কি রঙের হবে, ফ্রন্ট সাইজ কি রঙের হবে এইসব আমরা লিখে থাকি CSS দিয়ে। CSS এর বেসিক জ্ঞান থাকলেই আপনি পারবেন একটা ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে। HTML এবং CSS শেখার পর আপনার কাজ হবে ২-৩টা ওয়েবসাইট ডিজাইন করে ফেলা।যেমন-

১। পার্সোনাল পোর্টফোলিও
২। ব্লগ
৩। রেস্টরেন্ট ওয়েবসাইট ইত্যাদি

3.Bootstrap

আপনি HTML CSS দিয়ে অলরেডি যে ওয়েবসাইট ডিজাইন করেছেন, সেগুলো কিন্তু রেস্পনসিভ না। অর্থাৎ এই ওয়েবসাইটটা আপনার ডিভাইসে যেমন দেখাবে অন্য আরেকটি ডিভাইসে কিন্তু সেরকম দেখাবে না। পুরো ডিজাইনটাই সেখানে পরিবর্তন হয়ে যাবে এই সমস্যা সমাধান করতে আমরা ব্যবহার করবো বুটস্ট্রেপ। যা একটি CSS ফ্রেমওয়ার্ক। বুটস্ট্রেপের সাহায্যে আপনি খুব সহজেই একটি ওয়েবসাইটকে রেস্পন্সিভ করতে পারবেন। আপনাকে শুধু ব্যবহার করতে হবে বুটস্ট্রেপের ডিফাইন করা অল্প কিছু রুলস। বুটস্ট্রেপ শেখার পর আপনার কাজ হবে HTML এবং CSS দিয়ে যে ওয়েবসাইট গুলো ক্রিয়েট করেছিলেন সেগুলো বুটস্ট্রেপ দিয়ে রেস্পন্সিভ করা।

4.JavaScript

HTML, CSS, BootStrap এর পর আপনাকে শিখতে হবে জাভাস্ক্রিপ্ট। জাভাস্ক্রিপ্টটি আপনাকে খুব ভালোভাবে শিখতে হবে। কারণ দিন শেষে আপনি কিন্তু একজন জাভাস্ক্রিপ্ট ডেভেলপারই (MERN Stack). JS টা আপনার কাছে যত ক্লিয়ার হবে আপনি JS ডেভেলপার হিসেবে তত ভালো করতে পারবেন। আপনি JS যদি MDN ডকুমেন্টেশনটা পড়ে শিখতে পারেন তাহলে আপনি খুব উপকৃত হবেন।
কি কি শিখতে হবে JS এ?

• Basic JS Syntax+variable
• Operator
• If-Else
• Array
• String
• Function
• Loop
• Object
• JSON
• Class
• Asynchronous JS
• DOM


এই প্রতি টপিকের উপরে আপনার ভালো ধারণা থাকা লাগবে। চেষ্টা করবেন প্রত্যেকটা টপিকের উপরে যেন আপনার কন্সেপ্ট ক্লিয়ার থাকে। এই ৪টি টপিক আপনি ঠিক ভাবে শেখার পরই শুরু করতে পারবেন MERN স্ট্যাক ডেভেলপারের যাত্রা।

Start MERN stack development

MongoDB

আমরা যে ওয়েবসাইট  ক্রিয়েট করবো ডাটা অবশ্যই কোথাও না কোথাও সেইভ করে রাখতে হবে। এই ডাটা হতে পারে ইউজারের ইনফরমেশন, একটা প্রোডাক্টের ডিটেইলস অথবা যে কোনো কিছু।আর এর জন্যই আমরা ব্যবহার করবো MongoDB. MongoDB হচ্ছে একটি নন-রিলেশনাল ডাটাবেজ। বর্তমানের বহুল জনপ্রিয় এই ডাটাবেজটি ব্যবহার করা হয় mem স্ট্যাক ডেভেলপার স্ট্যাকে।

আপনার প্রথম কাজ হবে MongoDB এর সাহায্যে কীভাবে CURD অপারেশন চালাতে হয় সেটা শিখে ফেলা। অর্থাৎ Create-Update-Read-Delete এই চারটি। এই চারটি হচ্ছে বেসিক ডাটাবেজ অপারেশন যার যাহায্যে আপনি অনেক কিছুই করতে পারবেন।

এরপর আপনি শিখবেন একটু এডভান্স টপিক, যেমন-

  • Aggregate Function
  • Operators etc

আপনি MongoDB এর প্রতিটা কমান্ড শিখবেন mongo shell এ। তাহলে পরে MongoDB কে যেকোন ল্যাংগুয়েজ এর সাথেই ব্যবহার করতে পারবেন।

React

MongoDB এর পর চলে আসবেন ফ্রন্ট এন্ড টেকনোলোজিতে, অর্থাৎ রিএক্টে। রিএক্ট কে আমরা ব্যবহার করবো ফ্রন্ট এন্ড টেকনোলোজি হিসেবে। আমরা আগে যে HTML,CSS, BootStrap এবং JS শিখলাম তার সবকটাই লাগবে এই রিএক্টে। রিএক্টের সিনট্যাক্স হিসেবে ব্যবহার করা হয় JSX যা অনেকটা HTML এর মতো দেখতে কিন্তু HTML না।
রিএক্টে আপনার শিখতে হবে-

  • JSX
  • Rendering
  • Components
  • Props
  • State
  • Life cycle
  • Events
  • Conditional
  • Rendering
  • List and Keys
  • Forms
  • Composition VS Inheritance
  • Redux

রিএক্টে কাজ করতে হলে আপনাকে এইসব গুলো টপিকই জানতে হবে।তা না হলে প্রোজেক্ট করতে গিয়ে পদে পদে আটকে যাবেন। রিএক্টের এই টপিক গুলো সম্পর্কে ক্লিয়ার আইডিয়া পাবার পর আপনার কাজ হবে বুটস্ট্রেপ দিয়ে যে সাইট গুলো ক্রিয়েট করেছিলেন সেগুলো রিএক্টে ইমপ্লিমেন্ট করা। তাহলেই আপনি অনেক ক্লিয়ার হয়ে যাবেন রিএক্টের ব্যপারে।

Node.JS+Express.JS

আমাদের কিন্তু ফ্রন্ট এন্ড এবং ডাটাবেজ শিখা শেষ। এখন আমরা শিখবো ব্যাক এন্ড। অর্থাৎ যাকে বলা যেতে পারে একটি ওয়েবসাইটের মেরুদণ্ড। যার উপর একটি ওয়েবসাইট সম্পুর্ন দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা ব্যাক এন্ডে ব্যবহার করছি Node.js এবং ফ্রেমওয়ার্ক হিসেবে ব্যবহার করবো Express.js।শুরুতেই আপনার কাজ হবে এটা জেনে ফেলা যে Node.Js কীভাবে কাজ করে। শিখে ফেলবেন কীভাবে Node দিয়ে একটা সার্ভার রান করতে হয়। আমরা যদি সিরিয়াল করে বলি-

  • Server Setup
  • Modules
  • HTTP req Handle/ Routing
  • File
  • URL
  • Database Handle
  • NPM

এই অল্প কটি টপিক জানলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে কীভাবে Node.Js কাজ করে। এখন আপনি একটা জিনিস বুঝতে পারবেন যে ১-২টা ফিচারের কাজ যদি  র Node.Js এ করেন তাহলে তা মেন্টেইন করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে।আর এই কাজটিকে একটি ফরমেটে নেয়ার ভালো উপায় হচ্ছে একটা ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করা। আমরা এইজন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করি Node.Js এর, যেটা হচ্ছে Express.Js।

Express.JS এ আপনি Node.JS এ যা শিখে আসছেন তাই শিখবেন কিন্তু এখন ফরমেটেড ওয়েতে। আপনি একটা কোড ছোট ছোট পার্টে লিখবেন যেন আপনার একটি বড় প্রোজেক্ট হ্যান্ডেল করতে সুবিধা হয়।

   Express Js Learning List:

  • Express Setup
  • Request
  • Response
  • GET/POST method
  • Routing
  • Cookies
  • Database Handle
  • Sessions
  • File Upload
  • Middleware
এইসব গুলো টপিক শেখার পরে আপনার কাজ হবে আপনি রিএক্ট দিয়ে যে যে প্রোজেক্ট গুলো করেছেন তার সবগুলোকে Express.JS এর মাধ্যমে ডায়মাইক করা। অর্থাৎ সম্পুর্ন একটি ওয়েবসাইট বিল্ড করবেন যার ফ্রন্ট এন্ড এ আছে React এবং ব্যাক এন্ডে থাকবে Node+Express+MongoDB.
আপনি যদি সফল ভাবে এই প্রতিটা ধাপ লক্ষ্য করে একটি ওয়েবসাইট বিল্ড করতে পারেন তাহলে আপনাকে MERN স্টেক ডেভেলপারের দুনিয়ায় স্বাগতম। আর এসব কিছু নিয়েই খুব অল্প দিনের মধ্যেই মার্ন স্ট্যাক ডেভেলপমেন্টের উপর সবচেয়ে এডভান্সড এবং রিয়েল লাইফ প্রোজেক্ট বেসড কোর্স নিয়ে আসতে যাচ্ছি ইন শাহ্‌ আল্লাহ্‌। 
 
 
 S.M Sabiul Hajjaj
Full Stack Developer (MERN)

সি প্রোগ্রামিং দিয়েই শুরু হোক প্রোগ্রামিং ক্যারিয়ার

একদম বিগিনিং লেভেল এ যদি আপনি কারোর কাছে প্রোগ্রামিং শিখার জন্য পরামর্শ চান তাহলে হয়ত এই কথাটায় সবচেয়ে বেশী শুনে থাকবেন যে, “ সি প্রোগ্রামিং দিয়েই শুরুটা কর”

কেন আসলে আমরা বিগিনারদের কে সি প্রোগ্রামিং দিয়েই প্রোগ্রামিং ক্যারিয়ার টা স্টার্ট করার কথা বলে থাকি বা কেনই ফ্রেশারদেরএকদম শুরুতে সি প্রোগ্রামিংটাই শেখা উচিত, যেখানে বর্তমান ডেভেলোপমেন্ট সেক্টরে জাভাস্ক্রিপ্ট, জাভা, পাইথন , সুইফট এর মত ট্রেন্ডি ল্যাংগুয়েজ গুলো্র পিছনেই সবাই ছুটছে।

কারন C হল এমনি এক ল্যাংগুয়েজ , আপনি যদি একবার এই ল্যাংগুয়েজ টা ভাল ভাবে এডাপ্ট করে ফেলতে পারেন এবং C Programming দিয়ে ১-২ বছর শুধু মাত্র প্রব্লেম সল্ভিং ,ডাটা স্ট্রাকচার এলগোরিদম , লজিক ডেভেলোপমেন্ট এগুলোই কন্টিনিউওয়াসলী করতে থাকেন ,তাহলে আপনি নিজের অজান্তেই সফটওয়্যার ডেভেলোপমেন্ট সেক্টরে অন্য একজন ডেভেলোপার যিনি কিনা C ভাল মত না শিখেই বা প্রবলেম সল্ভিং না করেই  এখন PHP/ASP.NET/JAVA SCRIPT এধরনের টেকনোলোজি গুলো দিয়ে সরাসরি ডেভেলোপমেন্ট এর কাজ করতেসে তার চেয়ে আপনি ১০ গুন আগিয়ে গেলেন। কারন আপনি একজন প্রব্লেম সল্ভার , যেখানে আপনি শুধু মাত্র প্রব্লেম সল্ভ করার পিছনেই ২ বছর টাইম দিয়েছেন, তো স্বাভাবিকভাবেই যখন আপনি পরবর্তীতে ডেভেলোপার হিসেবে কোন টিমে কাজ করবেন তখন কোন প্রব্লেম আপনার সামনে আসলে সেটা সল্ভ করা আপনার জন্য এক তুড়ির ব্যাপার। আর তখনই কেবল আপনি ফিল করতে পারবেন আপনার সেই দুই বছরের C এর এখপেরিয়েন্স। আর শুধু কোম্পানী নয় ,গ্লোবালী পুরো এই সেক্টরেই আপনার ডিমান্ড  টা তখন কেমন হতে পারে, সেটা এখন হয়ত আপনি কল্পনা ও করতে পারছেন না।

C কে পৃথীবির সমস্ত মডার্ন ল্যাংগুয়েজ এর Mother Language হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গত প্রায় ৩০ বছর ধরে এই ল্যাংগুয়েজ ডোমিনেটেড করে আসছে মার্কেটে । C কে আমরা বলতে পারি মিড লেভেল ল্যাংগুয়েজ। Mid Level Language হওয়ায় সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এটি একই সাথে Assembly Language

( যেটা বলতে আমরা বুঝি Machine Understandable Low-Level Language) এবং  High Level Language (যেটা বলতে বুঝায় Closer to human languages or  Programmer Friendly Language )  এর মাঝামাঝি স্তরের একটা ল্যাংগুয়েজ যেটির মাধ্যমে যেমন বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম যেমন  (ইউনিক্স,উইন্ডোজ, আইওএস, লিন্যাক্স) ডেভেলোপ  করা যায় , ঠিক তেমনি একই সাথে এপ্লিকেশন ডেভেলোপমেন্ট এর কাজ ও করা যায়।

কিছু বড় বড় ওপেন সোর্স প্রোজেক্ট (যেমন- এসকিউলাইট ডাটাবেজ, লিনাক্স কার্নেল, পাইথন ইন্টারপ্রেটার) রয়েছে যেগুলোতে সি প্রোগ্রামিং ব্যবহৃত হয়।

এছাড়াও যখনি আমরা কোন  Embedded system (ইন্ডাস্ট্রিয়াল পারপাসে এ ব্যাবহৃত যযন্ত্রপাতিঃ  হতে পারে সেটি ক্যাল্কুলেটর, মোবাইল, ড্রোন, ক্যামেরা, স্মার্ট ওয়াচ ইত্যাদি) ডেভেলপমেন্ট এর কথা চিন্তা করি তখন Embedded C language  ই হয় প্রোগ্রামার এবং ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দের ফার্স্ট চয়েজ। কারন Embedded system এ সাধারণত থাকে একটি মাইক্রোপ্রসেসর বোর্ড এবং সুনির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রোগ্রামিং সম্বলিত একটি রম থাকে, যেখানে মেমোরী থাকে খুবই কম, প্রসেসিং পাওয়ার ও থাকে খুবই সল্প কিন্তু এই  সিস্টেমের প্রোগ্রামটা আবার এক্সিকিউট করতে হবে খুবই দ্রুত সময়ে। যেমন ছোট্ট একটা উধাহরন দেইঃ HP 50g ক্যালকুলেটর যার প্রসেসর হল  ARM, TI-89 calculator যার প্রসেসর হল Motorola 68000 যাদের প্রসেসিং ক্ষমতা খুবই সল্প, তাসত্তেও বিশাল বিশাল ক্যাল্কুলেশন মাত্র কয়েক মিলি সেকেন্ডের মধ্যে চোখের পলকে সল্ভ করে ফেলে। এইধরনের ক্ষুদ্র ডিভাইস গুলার প্রোগ্রাম গুলোও কিন্তু Embedded C তে লেখা।

কারন  সি তে লেখা কোন কোড কম্পাইল করলে সেটা Raw Binary executable কোডে পরিনত হয়ে ডিরেক্টলী মেমরীতে লোড হয় এবং খুবই দ্রুত সময়ে এক্সিকিউশন শুরু হয় এবং এই এক্সিকিউশন টাইম কিন্তু তুলনামুলক অনেক ফাস্ট অন্যান্য হাই লেভেল ল্যাঙ্গুয়েজ গুলোর তুলনায়, এই ফাস্ট হওয়ার পিছনেও কিছু আবার কিছু কারন রয়েছে যেমন সি তে অন্যান্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ (java) এর মত মেমরী লিক চেকিং,গারবেজ কালেকশন ,এক্সসেপশন হ্যান্ডেলিং, রান টাইম চেকিং ইত্যাদি বিল্ট ইন সার্ভিস না থাকার কারনে খুব অল্প মেমরী এবং লো স্টোরেজ স্পেস ই একটা এমবেডেড সিস্টেম স্মুথলী রান করতে পারে। এবং প্রোগ্রামার নিজেই এসব কিছু হান্ডেল করতে পারে নিজের মত করে। এতে করে পারফরমেন্স ও যেমন ফাস্ট হয় তেমনি খরচ ও অনেক কম পরে ,সেই কারণেই Embedded প্রোগ্রামিং এর ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত বিশ্বের স্পবচেয়ে বহুল ব্যাবহৃত ল্যাংগুয়েজ হল C . এই কারণে সি কে আমরা Machine Friendly Micro-Controller Programming  ও বলতে পারি ।

আপনার যদি ফিউচারে WEB Application Development , Mobile Application (Apps & Games) Development, Full Stack (MERN) developer , Artificial Intelligence, Machine Learning এ ধরনের ডীমান্ডেবল সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে চান এবং স্ট্রং পজিশন ধরে রাখতে চান, তাহলে সবার ফাস্টেই আপনার কাজ হবে সি প্রোগ্রামিং শিখে এবং এর মাধ্যমে অনলাইন জ্যাজ গুলোতে (codeforce, hackerrank, codechef, UVA online) প্রবলেম সল্ভিং করার মাধ্যমে নিজের প্রোগ্রামিং বেজ টাকে স্ট্রং করা। কারণ মাল্টিন্যাশনাল কোন সফটওয়ার কোম্পানীতে  কিংবা দেশীয় ভাল কোন কোম্পানীতে আপনি (MERN/DOT NET/ PHP/ Android/iOS)  ডেভেলোপার হিসেবে ভাইভা দিতে গেলে আপনাকে ফার্স্টে কখনই বলবে না যে , একটা প্রোজেক্ট বানায় দেখাও তো এখনই। ফার্স্ট এই আপনাকে কয়েক টা ক্রিটিক্যাল প্রবলেম দিয়ে সল্ভ করতে বলবে , সেটা হতে পারে হাতে কলমে ফিজিক্যালী কিংবা অনলাইনে লাইভে Google Docs এ। এই ধাপে আপনি কেবল উত্তীর্ণ হলেই আপনাকে পোর্টফোলিও বা আপনার প্রজেক্ট গুলো দেখবে।

 আপনি এই প্রবলেম সল্ভ করতে পারলেই মোটামুটি ৯০% নিশ্চিত যে আপনার জব কনফার্ম। কারণ কয়েকদিন চেষ্টা করলেই আপনি  যে কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখে ফেলতে পারবেন। তবে ভাল প্রোগ্রামার হতে গেলে শুধুমাত্র প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে শিখলেই হবে না বরং লজিক ডেভেলপ করে প্রবলেম সল্ভ করাও জানতে হবে।

প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ পারা কিংবা সফটওয়্যার/এপ্লিকেশন ডেল্ভেলোপমেন্ট পারাটাই আসলে তাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। প্রবলেম সলভিং স্কিল-ই একজন ভালো সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পূর্বশর্ত।

অনেক সিনিওর ডেভেলোপার ৪-৫ বছর পরেও C তে প্রবলেম সল্ভ করে শুধুমাত্র লজিক ইমপ্লিমেন্টেশনে নিজের ব্রেইন এর লজিক্যাল পার্ট কে আরো বেশী শার্প এবং স্ট্রং করার জন্য। তো  ইনিশিয়াল লেভেলই এ আপনি যদি আপনার প্রোগ্রামিং বেজকে একদম স্ট্রং করে ডেভেলোপমেন্ট সেক্টরে মুভ করেন ,তাহলে পরবর্তীতে আপনাকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হবে না।

আপনার প্রবলেম সল্ভিং এক্সপেরিয়েন্স এবং এই স্কীল্ডই আপনাকে এই সেক্টরের একদম সুইচ্চ শিখরে নিজেই নিয়ে যাবে ইন শাহ্ আল্লাহ্।

তো এই সব কথা চিন্তা করেই এই কোর্সের মডিউলকে আমি এমন ভাবে ডিজাইন করেছি যাতে করে আমরা একদম বিগিনিং লেভেল থেকে C Programming শেখার সাথে সাথে এই ল্যাঙ্গুয়েজের মাধ্যমে ছোট ছোট প্রবলেম সল্ভ করার মাধ্যমে আমাদের ব্রেইন এর লজিক কে স্ট্রং করার পাশাপাশি প্রবলেম সল্ভিং মাইন্ড বিল্ড আপ করা।

অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশন

ফ্রীলেন্সিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন, আমি প্রায়ই বেশ কিছু প্রশ্নের সম্মুখীন হই | আবার নতুনদের আগ্রহ দেখে ভালও লাগে | প্রায়ই অনেকেই ইমেইল করে

অনলাইনে কি ধরনের কাজ করা যায়? কোন কাজ করে অনলাইনে থেকে বেশি টাকা ইনকাম করা যায়? ভাইয়া, কিভাবে আমি অল্প সময়এ অনলাইনে টাকাইনকাম করতে পারব? কিভাবে অনলাইনের টাকা ব্যাংক এ বা হাতে পাওয়া যায়? এমন অনেক অনেক প্রশ্ন,

তো এই সকল কথা চিন্তা করেই আমি আপনাদের সাথে খুবই সহজ এবং যেটা আমাদের দেশে অনেকেই জানে না, হাতে গোনা দুই একজন ছাড়া , মোবাইল অ্যাপস মারকেটিং  এই অপার সম্ভবনাময় সেক্টরের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি যেটা কিনা বর্তমানে বিশ্বে বাইরের দেশগুলাতে খুবই জনপ্রিয় একটি কাজ

যে সকল তারুণরা বা যারা নিজেদেরকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন যে ফ্রিল্যানসিং সেক্টরে প্রতিষ্ঠিত হবেন বা অনলাইনে একটি স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়বেন ভাবছেন তাদের জন্য অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশন বা এ.এস.ও  হতে পারে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। এ.এস.ও এক্সপার্ট হিসাবে রয়েছে বিশ্ব  ব্যাপি আকর্ষনীয় ক্যারিয়ার গঠনের সুযোগ।

অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশন শেখা ছাড়া কোনভাবেই এ ক্ষেত্রগুলোতে সফলতা পাবেন না। আর ফ্রিল্যান্সিংয়েও এ.এস.ওর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ওডেস্ক.কম বা ফ্রিল্যান্সার.কম এর মতো অনলাইন মার্কেটপ্লেসে প্রতিমূহুর্তে অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশন বিষয়ক শত শত প্রজেক্ট আসছে। বাংলাদেশে এ.এস.ও নিয়ে খুব কম লোক কাজ করছে কারণ বেশিরভাগ মানুষই জানেইনা অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশন সম্পর্কে।

 শুধুমাত্র অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশন এর জন্যই গড়ে উঠছে এ.এস.ও  ক্যারিয়ার। যে কেউ নিজের ইচ্ছাশক্তি ও চেষ্টার মাধ্যমেই এ.এস.ও  জগতে প্রবেশ করতে পারেন কারণ বর্তমানে এটি একটি সম্ভবনাময় সেক্টর। আপনি যদি একটি ফ্রিলান্সিং পেশায় আগ্রহী হন তাহলে এ.এস.ও  -ই হতে পারে আপনার প্রধান নির্বাচন।

 কিন্তু কেন অন্য কোনো ক্যারিয়ার বাদে এ.এস.ও ক্যারিয়ারটিই বেছে নিবেন?

হ্যা, আজ আপনাদের দেখাবো কেন আপনি এ.এস.ও  কেই আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে নির্বাচিত করবেন। আসুন কারনগুলো দেখে নেওয়া যাক:

  • বর্তমানে যে পরিমানে নতুন নতুন অ্যাপস তৈরি হচ্ছে সেই কারনে নতুন অ্যাপস ভিজিটরের সামনে উপস্থাপন করার জন্য এ.এস.ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর এ কারনেই মার্কেটপ্লেসগুলোতে এ.এস.ও কাজের পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আর সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে কাজ পাওয়ার অভাবনীয় সুযোগ, কাজের জন্য বিড করলেই কাজ পাওয়া খুব সহজে ।
  • এ.এস.ও সেক্টরটা নতুন এবং সবচেয়ে সম্ভবনাময় একটি সেক্টর।এবং নতুন কোন কিছুই যদি আপনি ফার্স্টে শুরু করেন তাহলে সাক্সেস আপনার  নিশ্চিত।যাকে বলা যায় এককথায় “ফাকা মাঠে গোল দিয়া”  ইতিমধ্যেই বাইরের দেশে অসংখ্য লোক তাদের পেশা হিসেবে এ.এস.ও.-কে বেছে নিয়েছেন এবং এতে সফলতা লাভ করেছেন। নতুনরাও অনেক সফলভাবেই তাদের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারছে।
  • বর্তমানে এ.এস.ও কাজের মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব কাজের জন্য ওয়েব ডেভলপার বা ডিজাইনারদের চেয়ে এ.এস.ও এক্সপার্টরাই বেশি পারিশ্রমিক পায়। বর্তমানে মার্কেটপ্লেস গুলোতে এ.এস.ও কাজের জন্য গড়ে প্রতি ঘন্টা ৪৫ ডলার করে দেওয়া হয়। এক্সপার্টরা ১৫০ ডলার পর্যন্ত নেয়। তাই এই কাজের মূল্যও কম নয়।
  • আপনি যদি ইতিমধ্যে অ্যাপস ডেভলোপমেন্ট শিখে থাকেন বা শেখার পরিকল্পনা করে থাকেন তাহলে অ্যাপস ডেভলোপমেন্ট এর পাশাপাশি আপনাকে এ.এস.ও শিখতে হবে। এটি বাধ্যতামূলক নয় তবে অ্যাপস ডেভলোপমেন্ট এর পাশাপাশি এ.এস.ও. তেও আপনার দক্ষতা থাকলে আপনি আপনার এ.এস.ও. স্কিল প্রয়োগ করে নিজের অ্যাপস থেকেই হাজার হাজার ডলার ইনকাম করতে পারবেন।কারন আপনি নিজেই আপনার  অ্যাপসে লাখ লাখ ইন্সটল বা ডাউনলোড নিয়ে এসে সেখান থেকে একটি ভাল মানের প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

এ.এস.ও আসলে কি?

ইন্টারনেটের এই যুগে ওয়েবসাইট ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানকে তো কল্পনাই করা যায় না! আবার ওয়েবসাইট থাকলেই কিন্তু এখন চলেনা দরকার হয় একটি অ্যাপের । একটি ওয়েবসাইটকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যেমন অন্যতম গুরত্বপূর্ণ একটি উপায় তেমনি একটি অ্যাপ কেও প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরের হ্যায়ার  রাঙ্কিং এ নিয়ে যেতে দরকার হয় অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশনের।

সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে এ.এস.ও.-র অনেক বড় একটি বাজার রয়েছে এবং সব ধরনের ব্যবসা , প্রতিষ্ঠানকে  ই-কমার্স  ওয়েবসাইট গুলা অ্যাপে চলে আসার প্রবণতা রয়েছে।

অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশন ছাড়া কোন অ্যাপ কে প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোরের রাঙ্কিংয়ে নিয়ে আসা সম্ভব না।

কেন শিখবেন এ.এস.ও?

দিন দিন বিশ্বব্যাপি যত কোম্পানির অ্যাপ বাড়ছে , অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশনের কাজের ক্ষেত্রও অনেক বাড়ছে।ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতেও তাই দিন দিন বাড়ছে এপ স্টোর অপটিমাইজেশনের কাজ।

বর্তমান বিশ্বে প্রায় সব দেশেই তরুণদের মাঝে বেশ জায়গা করে নিয়েছে অনলাইন ভিত্তিক কাজ এ.এস.ও  এই অ্যাপ  মার্কেটিং।

ফ্রিল্যান্স মার্কেটপেসগুলোর তথ্যানুসারে, একজন অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশন এক্সপার্ট মাসে ৫০ হাজার থেকে শুর করে ১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।

এস ই ও র যেমন এখন কম্পিটিশন অনেক বেশি কিন্তু মারকেটপ্লেসে ASO র কম্পিটিশন অনেক কম। যে কেউই চাইলে একজন ASO Expert হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। ASO শিখার শুরুটা অনেক সহজ ।আপনার ব্যাসিক কিছু নলেজ থাকলেই আপনি ASO শিখতে পারবেন।যেমনঃ

  • Computer knowledge
  • Internet Knowledge
  • Browsing
  • English skill -Medium

তো আমাকে হয়ত অনেকেই আগে থেকে চিনেন।যারা চিনেন না তাদের জন্য ছোট্ট করে আমার পরিচয় টা একটু দেই

আমি Certified Java Developer, basically আমি JAVA, j2EE, Web Based Application Development ,ERP Software Development and analyst হিসেবে কাজ করছি এবং গত ৫ বছর ধরে এন্ড্রয়েড /আইওস ডেভেলোপমেন্ট  এবং এর পাশাপাশি  ASO consultant হিসেবে কাজ করে আসছি

আমি বেশ কিছু কোম্পানির অ্যাপ এবং ক্লায়েন্টের অ্যাপের জন্য ASO Consultant হিসেবে কাজ করেছি এর মধ্যে ছিল চাইনিজ বেশকিছু কিছু প্রোজেক্ট ।

এবং “How to Grow Mobile App Installs: From 0 to 1 Million & Earn More Money” কোরস্টিতে ইন্সট্রাক্টর হিসেবে আমি আপনাদের সাথে আছি নাসিম হায়দার।

এই কোর্সে আমি শিখিয়েছি অ্যাপ মারকেটিং এর একদম ব্যাসিক থেকে এডভান্স পর্যন্ত স্টেপ বাই স্টেপ এবং শিখিয়েছি অনেক অনেক স্ট্রাটেজি, টেকনিকস, সিক্রেট মেথড যেগুলো সব কিছুই দেখানো হয়েছে একদম রিয়েল লাইফ এক্সাম্পল এবং কেস স্টাডি সহকারে যেভাবে ইন্টারনাশনালি ASO EXPERT রা কাজ করে এবং আমি করে থাকি।আশা করি এই কোর্সের আপনাদের অনেক খানি উপকার করতে পারব ইন শাহ্ আল্লাহ্।

ASO শিখতে কি কি লাগে??

  • মোটামুটি কনফিগারেশন সম্বলিত একটি ল্যাপটপ/কম্পিউটার।
  • ইন্টারনেট কানেকশন।
  • ইন্টারনেট সর্ম্পকে মোটামুটি ধারণা এবং ওয়েব ব্রাউজিং ।
  • শেখার মানসিকতা/আগ্রহ।
  • উপরি উক্ত বিষয় গুলো জানলে এবং মোটামুটি ইংরেজি ধারণা, যাতে করে আপনি
  • বুঝতে পারেন ক্লাইন্ট আপনাকে কি বলছে।

কাদেরজন্য এই কোর্সটি?

  • অ্যাপ ডেভ্লোপার এবং মোবাইল অ্যাপ বিজনেস উদ্যোক্ততা
  • মোবাইল অ্যাপ কোম্পানি বা ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান যাদের নিজেদের ডেভ্লোপমেন্ট টিম আছে
  • আই.টি /কমপিউটার সায়েন্স স্টুডেন্ট
  • নন-আইটি স্টুডেন্টস যারা অনআইনে স্মার্ট ক্যারিয়ার গড়তে চায়
  • যারা অনলাইনে কাজ করতে আগ্রহী,বা ফ্রিলান্স মারকেটপ্লেস গুলাতে কাজ করে ভাল মানে রেভিনিউ জেনারেট করতে চাচ্ছেন।
  • যারা ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর এবং টুকটাক গ্রাফিক্স ডিজাইন করে
  • এস ই ও এবং ইন্টারনেট মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সার
  • যারা এন্ড্রয়েড বা আইওস বা গেম ডেভেলোপ করে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে চায়
  • অনলাইন মার্কেটিং এজেন্সি

এ.এস.ও এর বেসিক ধারণাসমূহ

তো এই কোর্সটি কমপ্লিট করে আপনি বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন মারকেটপ্লেসে।

বর্তমানে অনেক ফ্রিলান্স মারকেটপ্লেস রয়েছে যেমন ফাইভার, আপওয়ার্ক ,যেখানে ASO রিলেটেড অনেক কাজ করতে পারবেন।

আপনি ASO র কাজ শিখে মারকেটপ্লেসে ছোট বড় অনেক কাজ করতে পারবেন ।কেননা ASO র কিন্তু রয়েছে ছোট বড় অনেক ফিল্ড

এখানে কতগুলো প্রজেক্টের উদাহরন দেয়া হলো যা আপনি অনায়াসে করতে পারবেন

  • Competitors Research
  • Keyword Research
  • User Acquisition – ASA (Apple Search Ads & Google Ads)
  • Data Analysis
  • A/B Testing
  • Conversion Rate Optimization
  • Screenshot & Icon Re-design for better conversion
  • App video Preview ইত্যাদি অনেক কিছু

এছাড়াও আপনি যেকোন আইটি প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করতে পারবেন , যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ক্লায়েন্টকে ASO সেবা প্রদান করে।অথবা আপনি নিজেই ভার্চুয়ালই ওয়েবসাইট বা ব্লগ এর মাদ্ধমে ASO Consultant হিসেবে ক্লায়েন্টদের কে ASO সেবা প্রদান করতে পারেন যেভাবে আমি করে থাকি।

তো এইসব কথা চিন্তা করেই আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বাংলাদেশের ফার্স্ট “Advanced Mobile App (ASO) marketing & Growth hacking” মাস্টারক্লাশ এই কোর্স টি।

নিজেকে তৈরি করুন একজন এ.এস.ও কনস্যাল্টান্ট হিসাবে!

এই কোর্সটি শুরু হবে অ্যাপ স্টোর অপটিমাইজেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক ধারণা দিয়ে। তারপর ধীরে ধীরে এ্যাডভান্সড ধারণা ও কৌশল নিয়ে আলোচনা এবং অনুশীলন করা হবে। কোর্স শেষে আপনি নিজেই যেকোন  অ্যাপস এর মারকেটিং করতে পারবেন এবং পূনাঙ্গ এ,এস,ও পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবে। তাছাড়া fiverr , upwork.com সহ অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এ,এস,ও এসিস্ট্যান্ট টাইপের কাজ নয়, বরঞ্ছ এ,এস,ও কন্সালট্যান্ট ধরনের কাজ করতে পারবেন যেমনটা আমি এখন করে থাকি।

ফ্রিল্যান্সিং সাইট ছাড়াও নিজেই যেহেতু এ,এস,ও এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন আমার গাইডলাইন হবে আপনি এবং সম্ভব হলে কয়েকজন মিলে নিজের এ,এস,ও কোম্পানী বা ভারচুয়ালই কোন ফার্ম গড়ে তুলেন । যাতে করে নিজেই ওয়েব সাইট তৈরি করে এ,এস,ও এবং অন্যন্য সার্ভিস সেল করতে পারেন

কি থাকছে এই ‘Mobile App Marketing & Growth Hacking’ কোর্সে?

  1. ASO Introduction and Overview
  2. On store and off store optimization কি এবং এদের relevant factor গুলো কি কি?
  3. কিভাবে আমরা ASO এর জন্য Keyword Research করব?
  4. Keyword Optimization কি এবং Keyword Optimization life-cycle?
  5. বিভিন্ন ফ্রি ASO tools এর মাধ্যমে keyword suggestion এবং keyword spy
  6. Competitive keyword এর ক্ষেত্রে কিভাবে ASO করব?
  7. Ubbersuggest এবং Keyword planner tools এর মাধ্যমে keyword analysis, case study প্রাকটিস করা
  8. কিভাবে On Metadata text, title, short & Long Description Optimize করতে হয়
  9. Localization কি? এবং কিভাবে Localization এর মাধ্যমে অ্যাপের ইন্সটল ২০০% বাড়ানো যায়
  10. কিভাবে AppAnnie ASO tools ব্যবহার করে Keyword Research Analysis Report এবং Worksheet Ready করতে হয়
  11. ASO tools এর App Intelligence feature ব্যবহার করে Keyword Tracking, Spy, Suggestion & Research করা
  12. বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় Dave Mcclure এর অ্যাপ মারকেটিং (AARRR Metric Framework- Pirate Metrics for Startups) এর ইমপ্লিমেন্টেশন
  13. Growth hacking কি? Growth Hacking এর মাধ্যমে কিভাবে Apps এর Spike Download, install, revenue বৃদ্ধি করা যায়
  14. ASO এর Optimized Way তে Captivate App icon, Screenshot, Feature Graphic, Promo ডিজাইন করা
  15. Android apps এ Deep Linking Feature ইমপ্লিমেন্টেশন
  16. Pricing Model, Viral Coefficient Calculation, Monetization Pattern
  17. সোস্যাল মিডিয়া অটোমেশন এন্ড প্রমোশোন- Youtube, Facebook page, Reddit, Instagram, Blogs, LinkedIn, Email Marketing,
  18. Influencer মার্কেটিং, Hashtag মার্কেটিং, Youtube মার্কেটিং এর মাধ্যমে high volume Audience Engagements
  19. Effective Acquisition Channel Selection এর মাধ্যমে high volume Audience Engagements
  20. কিভাবে Facebook, Instagram এ effective campaign (SDK Implementation, Ad sets, Ads Level) run করে cheap install পাওয়া যায়
  21. কিভাবে Awesome Landing page design করতে হয় এবং সার্চ ইঞ্জিনে SEO করতে হয়

…..এছাড়াও কোর্সের প্রাইভেট ফোরামে থাকবে আমার লাইফটাইমের সাপোর্ট এবং ফ্রি কোর্স আপডেট। অ্যাপ মার্কেটিং সেক্টরে নতুন কিছু আসলেই আমি এই কোর্সে সেগুলি অ্যাড করে দিব, আর আপনাদের যেকোনো সমস্যা, জিজ্ঞাসা কোর্সের ফোরামে করলে আমি সব সময় আপনাদেরকে সেখানে হেল্প করব। যাতে করে আপনি একজন ASO এক্সপার্ট হতে পারেন।

Mobiles360.net

ব্লাক ফ্রাইডে উপলক্ষ্যে সীমিত সময়ের জন্য এনকোডেমীর সকল কোর্স এবং ক্যারিয়ার ট্র্যাক প্রোগ্রামে ৪০% ডিস্কাউন্টে এনরোল করার সুযোগ থাকবে। 📗 অফারটি পেতে ইউজ করুন "ENCODE40" এই কুপন কোডটি

New Year offer 2023🔔

নতুন বছর উপলক্ষ্যে সীমিত সময়ের জন্য এনকোডেমীর সকল কোর্স এবং ক্যারিয়ার ট্র্যাক প্রোগ্রামে ৫০% ডিস্কাউন্টে এনরোল করার সুযোগ থাকবে। 📗 অফারটি পেতে ইউজ করুন NEWYEAR23 এই কুপন কোডটী

We don’t spam! Read our privacy policy for more info.